1. rajubdnews@gmail.com : admin :
  2. bipplobsarkar@gmail.com : Md. Bipplob Sarkar : Md. Bipplob Sarkar
  3. crimeaction24@gmail.com : Maruf Gazi : Maruf Gazi
  4. mizanbhola10@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
সবর্শেষ সংবাদ :
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সিএনজি ও অটোচালকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ যাত্রী পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন যুক্তরাজ্যে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে জিতলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৪ ব্রিটিশ নারী অর্থের অভাবে থেমে গেছে চিকিৎসা, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। রাণীশংকৈলগামী নাবিল কোচ-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৫ আহত-২৮ বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত চাঁদপুরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির চেক বিতরণ মতলব উত্তরে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে চার পরিবার সমাজচ্যুত জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চাঁদপুরের নির্বাচনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে সাংস্কৃতিক সংগঠনের স্মারকলিপি প্রধান মুরাদনগর সাংবাদিকদের সাথে  উপজেলা চেয়ারম্যানের মত বিনিময় সভা

বাজার ভরা মৌসুমি ফল নাগালের বাইরে দাম

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
  • ১৮ বার পঠিত হয়েছে
সুমন আহমেদ :
সারাদেশের মতো মতলব উত্তর উপজেলায়ও আম, জাম, লিটু, কাঁঠালসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলে সয়লাব বাজার। কিন্তু অতিরিক্ত দামের কারণে নিম্নআয়ের মানুষ এসব ফল কিনতে পারছেন না। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা কিনে এনে বিক্রি করছেন এজন্য দাম বেশি। তাছাড়া বেড়েছ পরিবহন ব্যয়।
মো. নুরুজ্জামান তিনি একজন ফল বিক্রেতা। গত অন্তত ১৫ বছর ধরে পৌরসভার ছেংগারচর বাজারে চৌরাস্তার মোড়ে ফলের ব্যবসা করছেন। ফল বিক্রি করতে গিয়ে এ বছরের মতো আর কখনো হিমশিম খাননি তিনি। নুরুজ্জামানের ফলের দোকানে সব ধরনেরই ফল রয়েছে। তবে মৌসুম চলায় এখন ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় আম-লিচুসহ অন্যান্য মৌসুমি ফল। ফল বিক্রেতা বলেন, ১৫ বছরের মতো ফল বিক্রি করছি। তবে এ বছরের মতো এতো দাম কখনো দেখিনি। এ বছর মৌসুমি ফলগুলোর দামও অনেক বেশি। তবুও ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে দোকানে অন্যান্য ফলের পাশাপাশি মৌসুমি ফল আম ও লিচু তুলেছি। এ বছর লিচুর দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত কয়েকদিন আগেও একটি লিচু ৬ টাকা করে বিক্রি করতে হয়েছে। বর্তমানেও একটি লিচু সাড়ে ৫ টাকার মতো করে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমও বিক্রি করছি। এই আমের দামও এ বছর দ্বিগুণ। গত বছর জাতভেদে যে আম এক কেজি ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা বিক্রি করেছি। তা এখন ১০০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মৌসুমি ফলের এমন অস্বাভাবিক দামের কারণে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ফল কিনতে পারছেন না। যেই ক্রেতা আগের বছর ৫ কেজি আম কিনতেন, তিনি এ বছর ২ থেকে ৩ কেজি কিনছেন। আবার যিনি গত বছর একশত লিচু কিনেছেন, তিনি এবার ৫০টি কিনছেন। অনেকে ক্রেতা তো আবার দাম শুনে ফল না কিনে চলে যাচ্ছেন। ফল বিক্রেতা নুরুজ্জামান আরো বলেন, এ বছরের ফলের দাম বাড়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম চাহিদার তুলনায় কম ফল উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া আমরা ফলগুলো রাজশাহী, যশোর ও দিনাজপুর থেকে কিনে আনি। এ বছর পরিবহন খরচও বেড়েছে, তাই বাধ্য হয়েই আমরা বেশি দামে ফল বিক্রি করছি। বেশি দামে ফল বিক্রি করলেও আমাদের তেমন লাভ হয় না। এক কেজি আম বিক্রি করলে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকার মতো লাভ হয়। আর ১০০ লিচু বিক্রি করলে লাভ হয় ২০ টাকার মতো।
কেবল নুরুজ্জামানই নয়, তার মতো মতলব উত্তর উপজেলায় বিভিন্নস্থানে বর্তমানে মৌসুমি ও স্থায়ী ফল ব্যবসায়ী আছেন অন্তত ৭০ জন। এ সকল ফল বিক্রেতাদের সকলকেই বেশি দামে ফল কিনে, বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে মৌসুমি ফল খাওয়ার স্বাদ থাকলেও সাধ্য নেই অনেকের। তাদের মধ্যে এমনই একজন মো. মোশারফ। তিনি  ছেংগারচর পৌরসভায় প্রায় ১০ বছর ধরে ভ্যানগাড়ী চালান। তার দৈনিক আয় ৪০০ টাকা। স্ত্রী ও ছেলে, মেয়েসহ তার মোট চার সদস্যের সংসার। তার দৈনিক যা আয় হয়, তা সংসারের গুরুত্বপূর্ণ খাতেই ব্যয় হয়ে যায়। তিনি জানান, দিনশেষে আয় হয় ৪০০ টাকা। এই আয় দিয়ে কোনো রকমে কেবল সংসার চলে। এখান থেকে বাড়তি খরচের কোনো পথ নেই। তাই ফল কিনবো কিভাবে? আগে চাইলেও মৌসুমি ফলগুলো কেনা যেতো। তবে এখন এসব ফল আমাদের মতো নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য অপচয়ের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমি ফলগুলোও এখন হয়ে গেছে কেবল বড়লোকদের খাবার।
মাদরাসার শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এ বছর মৌসুমের সময়ও ফলের দাম অনেক বেশি; যা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের নাগালের একেবারেই বাইরে। আমি যে বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চালানোর পর ফল কেনা খুবই কষ্টসাধ্য। তবুও সন্তানদের আবদারে ৩ দফায় তিন কেজি আম কিনেছি। লিচুর দাম এতোই বেশি তা আর কেনার সাহস হয়নি। এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, এই উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে তেমন কোনো ফল উৎপাদন হয় না। যার জন্য ব্যবসায়ীরা অন্য জেলা থেকে ফল এনে বিক্রি করেন। এছাড়া ফলের উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার জন্যই বর্তমানে বাজারে মৌসুমি ফল থাকলেও দাম কিছুটা বেশি। তবে আমরা মতলব উত্তরের কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার ফল উৎপাদনের জন্য উৎসাহী করছি। এ উপজেলায় ফল উৎপাদন বাড়লে বাজারেও দাম কমে যাবে বলে মনে করছি।

দয়া করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved by CrimeAction 24 Dot Com.
Theme Customized BY LatestNews