কচুয়া প্রতিনিধি ॥
কচুয়ায় ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজারে বালু উত্তোলণ করায় ৪টি ড্রেজার মেশিন ও পাইপ গুঁড়িয়ে ধ্বংস করে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধ করার পর দিনই ফের ফসলি জমি থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ীরা।
পালাখাল মডেল ইউনিয়নের মেঘদাইর উত্তর পশ্চিম মাঠে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে বালু ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছ মাষ্টার ও তার সহযোগীরা। এ ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করায় পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা তাকে একাধিক বার বাঁধা প্রদান করে। বাঁধা ডিঙ্গিয়ে ও তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে বালু ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছ মাষ্টার ও তার সহযোগীরা। পরে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা বালু উত্তোলন বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইবনে আল জায়েদ হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আব্দুল কুদ্দুছ মাষ্টার যে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে সে মেশিনসহ মোট ৪টি মিনি ড্রেজার মেশিন ও পাইপ গুঁড়িয়ে দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়
ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক বালু উত্তোলন বন্ধ করার পরদিনই ফের বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছ মাষ্টার ও তার সহযোগীরা। এতে করে ফসলি জমি বিনষ্ট ও পার্শ্ববর্তী জমি ভাঙ্গণের হুমকিতে রয়েছে।
পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা জানান, ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক বালু উত্তোলন বন্ধ করতে ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করে দেয়। তারপরেও আব্দুল কুদ্দুছ মাষ্টার ফের বালু উত্তোলন করছে। এতে আমাদের জমিগুলো ভেঙ্গে পড়বে । জমি ভাঙ্গনরোধে ও ফসলি জমি রক্ষার্থে আব্দুল কুদ্দুছ মাষ্টার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, অবৈধভাবে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করায় মঙ্গলবার ৪টি মেশিন বিনষ্ট করে দিয়ে বালু উত্তোলণ বন্ধ করে দেয়া হয়। অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলণ বন্ধ করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।