মানিক দাস //
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন বাসের আয়োজনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র টুঙ্গিপারার মিয়া ভাই শরবত পরিবেশন হয় চলচ্চিত্র পরিচালক প্রযোজক মোহাম্মদ সেলিম খান কে গণ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
২৬ মার্চ শনিবার বিকেল তিনটায় লক্ষ্মীপুর গ্রামে গণ সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউনুস শেখের সভাপতিত্বে ও লক্ষিপুর মডেল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাহেদ আখনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দৈনিক চাঁদপুর বার্তা প্রকাশক ও সম্পাদক শাপলা মিডিয়া ও ভয়েস টিভির কর্ণধার মোঃ সেলিম খান। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে ৯ মাস যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন হয়েছে ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের ৪ হাজার ৮ শ ৮২ দিন জেল আেটেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে । ১৯ ৪৭ সাল থেকে এ দেশে স্বাধীনতার সূত্রপাত করা হয়। তারপর ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়।আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিলে বাঙালী জাতি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে। ৯ মাস যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৌশর জীবনে ঘটনা নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই চলচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।আমাদের এ ছবি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে দেখেছেন ।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আজ দেশের সকল শিল্পকলায় প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ ছবির শেষে উল্যেখ আছে অসমাপ্ত। এখন আমরা নির্মান করবো ” মুজিব ভাই”।এ চলচিত্র নির্মানের শুভ মহরত এখানেই ঘোষনা করছি। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কে স্ব পরিবারে হত্যার ঘটনা নিয়ে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট নির্মান করেছি। আগামীতে শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মান করবো ” জননেত্রী” নামে চলচিত্র। আজকে লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন বাসির আয়োজনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র টুঙ্গিপারার মিয়া ভাই চলচ্চিত্রের পরিচালক প্রযোজক হিসাবে আমাকে গণ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে তাই ইউনিয়নবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় সংবধিত মুক্তিযুদ্ধা জব্বার শেখ ও মামুনুর রশিদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারন ও অনুভোতি ব্যাক্ত করেন। পরে সব শেষে চাঁদপুরের খ্যাতিমান শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক পরিবেশন করে।