মানিক দাস // আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বশির আহমেদের সঞ্চালনায় প্রস্তুতিমূলক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দীন বলেন, পূজা মণ্ডপ গুলোতে স্বেচ্ছাসেবক টিমের তালিকা স্ব স্ব থানার অফিসার ইনচার্জ কে দিতে হবে। রেজিস্ট্রার অবশ্যই রাখতে হবে। পূজা মণ্ডপ গুলোতে সিসি ক্যামেরা বাধ্যতা মুলক স্হাপন করতে হবে। পুলিশ ও আনসার পর্যাপ্ত থাকবে।গোয়েন্দা সংস্হা নজরদারি রেখে আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে।প্রতিটি পূজা মণ্ডপে এমন কোনো ব্যাক্তিকে স্বেচ্ছাসেবক রাখবেন না। তার সম্পর্কে জেনে শুনে রাখবেন। এ বছর আমাদের পাশে সেনাবাহিনী ও রয়েছে। সন্ধ্যার পর বিসর্জনে যাওয়া যাবে না তা ধর্ম মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ। আমরা চাই দিনের আলোর মধ্যে বিসর্জন শেষ করবো। দির্শমান স্হানে স্বেচ্ছাসেবকদের নামের ও মোবাইল নাম্বার সাটিয়ে রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকরা দেখবে পূজা মণ্ডপে যেন কোনো ধরনের অন্যায় অপরাধ না হয়। পূজা মণ্ডপে কোনো নেশা হয় না। যদি কেউ নেশা করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্হা নেয়া হবে।বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন পূজা চলাকালে স্বেচ্ছাসেবক টিম টহল টিম দায়িত্ব পালন করবে। লোডসেডিং হবেই। তবে দিনের বেলা যত লোডসেডিং দিবেন। রাতে কোনো ভাবেই লোডসেডিং দিবেন না। তবে পূজা মণ্ডপে বিকল্প পাওয়ারের ব্যবস্হা রাখতে হবে। তিন সিপ্টে স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবে। সড়ক সংস্কার করা হবে। এবছর পূজায় স্কাউট ও রোভার স্কাউটস দায়িত্ব পালন করবে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রাকিব পিপিএম,বলেন স্যোসাল মিডিয়ায় যেন কোনো গুজব ছড়াতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নে ৮ টি পূজা মণ্ডপ। হাজীগঞ্জে ২০২১ সালে কুমিল্লার ঘটনায় সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনা ঘটেছিল। আসামীরা মামলায় জামিনে এসে এখন নানা ভাবে পূজায় কিছু করার পরিকল্পনা করতে চেষ্টা করছে।জেলা পুলিশ হাজীগঞ্জে কড়া নজরদারি রাখবে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রাকিব পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুজ্জামান, মেজর আরিফ হোসেন,
জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ সলিমুল্যাহ সেলিম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারন সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, সিভিল সার্জন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি সাহাদাত হোসেন শান্ত, মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা,খেলাফত মজলিস সেক্রেটরি আবুল কালাম আজাদ,কোস্টগার্ড চীপ পেটি অফিসার শফিকুল ইসলাম , জেলা ইসলজমী আন্দোলনের সভাপতি শেখ জয়নাল আবেদীন, সদর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মন চন্দ্র সূত্রধর, হেফাজত ইসলাম সাধারন সম্পাদক মুফতি মাহবুবুর রহমান, জেলা জম্মাস্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র মালাকার, হাইমচর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিবেক লাল মজুমদার, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল সাহা, সাধারন সম্পাদক সুমন সরকার জয়, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক লিটন দাস, সদস্য সচিব প্রবির চক্রবর্তী, শাহরাস্তি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিখিল চন্দ্র মজুমদার, মতলব উত্তর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কিশোর কুমার ঘোষ, হাজীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রুহি দাস বণিক, শিপ্রা মজুমদার।